১৯৪৭ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত প্রথমে পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশের জন্মের পরেও কোনো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়নি দেবহাটা থানায়। পরবর্তীতে দেবহাটা থানায় খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ এলাকার ছেলে-মেয়েরা নিজের বাড়ি থেকে লেখাপড়ার সুযোগ পায়।
দেশের কৃতী সন্তান অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বিখ্যাত শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সুফী সাধক খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ (র.) এর নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ. মজিদ। কলেজ প্রতিষ্ঠায় অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নবম সেক্টরের প্রতিষ্ঠাতা সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শাহাজান মাস্টার, প্রাক্তন সংসদ সদস্য মুনছুর আহমদ, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জব্বার ফারুক, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছালামতুল্যা গাজী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি অর্থ, জমি, মেধা শারীরিক শ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ। শুরু থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কলেজটির। কলেজটির মোট জমি ২২ বিঘার মতো। ১০ বিঘা জমিতে নির্মিত কলেজ ভবন, মসজিদ, পুকুর, ক্যাম্পাস ও খেলার প্রশস্ত মাঠ। কলেজটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৮৬ সালে এইচএসসি ও ১৯৯৩ সালে স্নাতক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়। ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, বিএম স্বীকৃতি পায় ২০০৪ সালে।
প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনছুর আহমেদ জানান, এলাকার শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, সুন্দর অবকাঠামো, প্রশস্ত খেলার মাঠ ও সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকারী খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজটিকে দ্রুত সরকারিকরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।